সিঙ্গুরে চা চক্রে রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ

17th December 2020 2:21 pm হুগলী
সিঙ্গুরে চা চক্রে রাজ‍্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : বিজেপিতে অনেক কাজের জায়গা, তৃণমূলের নেতারা এলেও নিচুতলায় কোনো সমস্যা হবেনা। হুগলীর সিঙ্গুরে কুড়িগ্রামে চায়ে পে চর্চায় এসে বললেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।  তিনি রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন আমফান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রকল্পের টাকাই রাজ্যের কৃষকরা পাননি। শুধুমাত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একগুয়েমির জন্য সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত রাজ্যের কৃষকরা। বিজেপির সরকার এলে এনিয়ে আর তাদের ভাবতে হবে না। কেন্দ্র থেকে যত প্রকল্পের টাকা এসেছে তার সবটাই কাটমানি দিতে চলে গেছে।  তিনি আরোও বলেন পঞ্চায়েতে বিজেপিকে মনোনয়ন দাখিল ও করতে দেয়নি তৃণমূলের গুন্ডারা। তার বদলা লোকসভায় দিয়েছে রাজ্যবাসী, আর লোকসভা ভোটের পর থেকে যেভাবে যেভাবে অত্যাচারিত হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরাতা আগামী বিধানসভা ভোটে পূরন করে দেবেন রাজ্যের মানুষ ।  এদিন কুড়িগ্রামের কৃষক পরিবার অমিতবাগের বাড়ীতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন তিনি। এর পর আরামবাগে জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা তার।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।